কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জহিরুল ইসলামকে হত্যার কথা স্বীকার করে এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মারজান নামের এ আসামি শুক্রবার বিচারক চন্দন কান্তি নাথের সামনে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার। তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় এজাহারের আসামি মারজাহান (২২) শুক্রবার কুমিল্লার আদালতে খুনের ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। মারজান আদালতে বলেন, জহিরুল ইসলাম খুনের সঙ্গে তার বাবা আবাদ, চাচা ফারুক ও ভাই মাসুদ জড়িত।
বুধবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানা এলাকা থেকে আসামি মো. মাসুদ (৩২) ও মারজাহানকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহির হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবাদ মিয়ার ছেলে ও এজাহারের আসামি।
এ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যার ১০ জন আসামির তিন জন গ্রেফতার হলেন। ঘটনার দিন ফারুক নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক চন্দন কান্তি নাথ দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডের প্রথম দিন শুক্রবার মারজান খুনের কথা স্বীকার করেন। এ দিনই তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।
ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু খুনের ঘটনার অন্যতম তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। আশা করি, অচিরেই প্রধান আসামি আবাদকেও গ্রেফতার করতে পারব। সেভাবেই আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।’
বরুড়া পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলামকে (৩৫) গত ২৬ নভেম্বর কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রানা আহত হন। ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই জোবায়ের ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।